অরুপ দেবনাথ (কমল) নালিতাবাড়ী : গত ১৮ ই জানুয়ারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিশেষ মুঞ্জরী রবাদ্দকৃত অর্থ উপর্যুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক কর্মচারী ও ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে বিতরনের লক্ষ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাবিভাগের বাজেট শাখা। যার স্মারক নং ৭.০০.০০০০.০৬৪.২০.০০৫.১৭-১৮। এতে দেশের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারী সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (এমপিওভূক্ত ও নন এমপিভূক্ত) মেরামত, সংস্কার, আসবাবপত্র ক্রয় প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধী বান্ধব করাসহ পাঠাগারের উন্নয়ন কাজের জন্য আবেদন করা যাবে বলে উল্লেখ আছে। বেসরকারী সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভূক্ত ও নন এমপিওভূক্ত শিক্ষক কর্মচারীগন তাদের দুরারোগ্য ব্যাধি ও দৈব দূর্ঘটনার জন্য মঞ্জুরীর আবেদন করতে পারবেন। ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ তাদের দূরারোগ্য ব্যাধি ও দৈব দূর্ঘটনার উক্ত নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। তবে এই বিশেষ মঞ্জুরী প্রদানের ক্ষেত্রে দুস্থ ,প্রতিবন্ধী, অসহায়,রোহগ্রস্থ, গরীব মেধাবী, অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ছাত্র ছাত্রীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে । কিন্তু নালিতাবাড়ী উপজেলায় এই বিশেষ মঞ্জুরী করোনা অনুদান মনে করে সব শিক্ষার্থীই পাবে এমন খবর হঠাৎ করে ছড়িয়ে পড়াতে স্থানীয় কম্পিউটার দোকান গুলোতে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা এসে ভীড় করছে । এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রত্যয়ন পত্র নিতে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কোন ভাবেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
শিক্ষার্থীদের কাছে যানতে চাওয়া হলে তারা বলে যে করোনা কালীন অনুদান তাই আমরা সবাই আবেদন করছি । এই বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোফাজ্জল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা প্রত্যয়নের স্কুলে ভীর করছে এবং ফোন করেও কেউ কেউ প্রত্যয়ন পত্র চাচ্ছে। কোন ক্যাটারীর শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে এর সঠিক কারণ বলেও বুঝাতে পারছি না। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি এবং সঠিক বিষয় জানিয়ে শহরে মাইকিং করে অবগত করা প্রয়োজন বলে মনে করছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় রাকিব কম্পিউটারের সত্ত্বাধিকারী রাকিবুল ইসলাম রাকিবের বলেন দুইদিন যাবৎ আমার দোকানে পর্যাপ্ত ভীড় হচ্ছে কিন্তু আমি বিষয়টির সঠিক ব্যাখ্যা দিয়েও বুঝাতে পারছি না, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাপে আমি আজ দোকান বন্ধ রেখেছি, ভাবছি আগামীকালও বন্ধ রাখব।
এদিকে আবেদনটি অনলাইনে করা যায় বিধায় অনেক শিক্ষার্থী তথ্য গোপন করে আয় ব্যয়ের সঠিক তথ্য না দিয়ে অভিভাবকদের পেশা গোপন করে অনেক ধনী লোকের ছেলেমেয়েরাও আবেদন করছে যাতে করে যোগ্য শিক্ষার্থীরা বাদ পরতে পারে। যোগ্য শিক্ষার্থীরা এ অনুদান পাবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।