নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি: শেরপুর শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তর্তী কাটাবাড়ী এলাকার গহীন জঙ্গলে বয়স্ক ও অসুস্থ একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে লাকড়ি সংগ্রহে গিয়ে এলাকাবাসি কাটাবাড়ি এলাকায় হাতিটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। ইতিমধ্যে জনপ্রতিনিধি, বনবিভাগ ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। জনপ্রতিনিধি,বনবিভাগ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে,গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে ৩০ থেকে ৪০টি বন্য হাতির পাল ভারত থেকে নেমে এসে নাকুগাঁও-ডালুকোনা গ্রামে হানা দেয়। এসময় এলাকাবাসি হাতির উপস্থিতি টের পেয়ে মশালজ্বালিয়ে ডাকঢুল বাজিয়ে হইহৈল্লা করে হাতির পালকে প্রতিরোধ করেন। পরে রাত ১টার দিকে হাতির পাল কাটাবাড়ি এলাকায় অবস্থান করে। এসময় খাদ্যের সন্ধানে হাতির পাল লোকালয়ে নামতে চাইলে গ্রামবাসি রাতজেগে হাতি পাহারায় থাকেন। শেষ রাতে প্রচন্ড বৃষ্টিতে হাতির পাল ভারতের সীমান্তের জঙ্গলে দিকে ফলে যায়। আজ সোমবার সকালে গ্রাম বাসি লাকড়ি সংগ্রহে পাহাড়ে গেলে কাটাবাড়ি এলাকায় একটি বয়স্ক হাতিকে মৃত্য অবস্থায় দেখতে পান। পরে জনপ্রতিনিধি,বনবিভাগ ও বিজিবিকে বিষয়টি অবগত করা হয়। নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়রম্যান মো. ইউনুছ আলী দেওয়ান বলেন, কাটাবাড়ী এলাকার আজ একটি বয়স্ক হাতিকে মৃত্য অবস্থায় এলাকাবাসি দেখতে পান। পরে খবর দিলে আমি মৃত্য হাতিটি দেখতে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছে গতরাতে হাতির পাল ফিরে যাওয়ার সময় অসুস্থতা জনিত কারনে বয়স্ক এই হাতিটি যেতে পারেনি। অসুস্থজনিত কারণে হাতিটি মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বনবিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জার মো.আবদুল করিম বলেন,হাতিটির শরীরের বাশ পাশে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তবে হাতিটি বয়স্ক ও অসুস্থ ছিল। সেই কারণে মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বন্যপ্রাণি কার্যালয়,বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর হাতিটির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে এলাকায় প্রচন্ড মুষলধারে বৃষ্টি থাকায় এখনো কেও আসতে পারছেন না।