নালিতাবাড়ী প্রতিনিধিঃ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মাতালদের ছুরিকাঘাতে গারো উপজাতি সম্প্রদায়ের এক কৃষক খুন হয়েছেন। নিহত ওই কৃষকের নাম সুনীল চাম্বুগং (৫০)। সে পুর্ব সমেশ্চুড়া গ্রামের লিপিন মারাকের ছেলে। বুধবার (২০মে) রাত সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের সীমান্ত সড়কের কালাপানি গ্রামের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুইজন।আহতরা হলেন- সুনীলের স্ত্রী দীবাস মারাক (৪০) ও মেয়ের জামাই আন্তুন মারাক (৩০)। এ খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তিন মাতালকে স্থানীয়রা আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। আটককৃতরা হলেন- ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউরা উপজেলার নেইক্কার কান্দা গ্রামের জয় চরন পাতাং এর ছেলে পিরেন্দ্র রকমা (৪৫), জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার মহিরামপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে স্বপন মিয়া (৩০) ও আরেকজন অজ্ঞান অবস্থায় থাকায় তাৎক্ষনিক পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, প্রান্তীক কৃষক সুনীল মারাক স্ত্রী, সন্তান ও মেয়ের জামাইকে নিয়ে বুরুঙ্গা কালাপানি এলাকায় বোরো ধান কেটে মাড়াই করে দুটি ভ্যান বোঝাই করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বিপরীত দিক থেকে চোলাই মদ পান করে আসা মদ্যপ তিন মোটরসাইকেল আরোহী ভ্যানটির সাথে ধাক্কা খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। এ সময় মাতাল ওই তিন ব্যক্তি সুনীলের স্ত্রী দীবাশ মারাকে মারধোর শুরু করে। এ ঘটনায় সুনীল তার স্ত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে যায়। পরে মাতালরা সুনীলের উপর হামলে পড়ে ছুরি দিয়ে বুকের পাজরের নিচে আঘাত করে। এতে ফুসফুস বেরিয়ে আসায় ঘটনাস্থলেই সুনীল মারা যায়। আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইগাতী উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই দুই জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। ওসি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ সুরতহাল প্রতিবেদন করে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আটক ওই তিন মাতালকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া খুনের আরো কোন রহস্য আছে কি না তা উদঘাটনের চেষ্টা চল। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলেও ওসি জানান। এদিকে, খুনের ঘটনার পরপরই রাতেই শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।